Sunday, June 16, 2013
Participatory approach to land acquisition sought
Staff Correspondent
Speakers at a seminar yesterday recommended that the government goes for a participatory approach while acquiring land for infrastructural development to benefit all, including the landowner.
They said the government could create a win-win situation like sharing profits from the infrastructural development with the landowner.
The land management system, lengthy at present, could improve if the land records are digitised, helping the government earn the trust of the landowners, they added.
The seminar, “Enabling Land Acquisition for Infrastructure: A Participatory Approach”, was organised by Compact Township (CT) Foundation, Bangladesh, a development organisation, in the capital’s Bangladesh Institute of Development Studies.
One reason why landowners dislike government acquisition, for instance for a road, is that while that person gets a nominal compensation, adjoining landowners make more profit for that new road, said CT Foundation Chairperson Prof Salim Rashid. Chairing the seminar, former adviser to a caretaker government Akbar Ali Khan said digitisation of land records could improve the situation but awareness from the root level was also required.
বিআইডিএসের সেমিনারে বক্তারা
বিরোধ এড়াতে ভূমি রেকর্ড আধুনিকায়ন করতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ১৬–০৬–২০১৩
অবকাঠামো নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণ: অংশগ্রহণমূলক মনোভাব’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, ভূমিসংক্রান্ত বিরোধ এড়াতে গেলে ভূমি রেকর্ড পদ্ধতির আধুনিকায়ন করতে হবে। ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ভূমির মালিকদের অংশীদারি ও ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
কমপ্যাক্ট টাউনশিপ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে গতকাল শনিবার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সম্মেলনকক্ষে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান। তিনি বলেন, ভূমিসংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভূমি রেকর্ডকে আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন, তবে তা যথেষ্ট নয়। ভূমিসংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা যেতে পারে, যেখানে ভূমি অফিস, সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ও আদালত সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারেন।
অধিগ্রহণকৃত ভূমির মালিকদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে আকবর আলি খান বলেন, ক্ষতিপূরণ-সংক্রান্ত জটিলতা এড়াতে দুই স্তরের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। প্রথম স্তরে মালিককে অধিগ্রহণ করা ভূমির মূল্য পরিশোধ করা, দ্বিতীয় স্তরে অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে নির্মিত অবকাঠামো থেকে প্রাপ্ত মুনাফার একটি নির্দিষ্ট হারে ক্ষতিপূরণ দেওয়া।
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভূমি রেকর্ডকে আধুনিকায়নের বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আবদুল মূয়ীদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বিভিন্ন মৌজা মানচিত্র, সিএস ও আরএস রেকর্ডসহ অন্যান্য নথি ডিজিটাইজ করে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়গুলোতে রাখলে এগুলো বিকৃত করার সুযোগ থাকবে না।
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারপারসন ও যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক সেলিম রশিদ বাংলাদেশে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ভূমির মালিকদের অংশীদারি ও ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্ব দেন। সাবেক উপসচিব করিম গাজী বাংলাদেশে ভূমি অধিগ্রহণের পদ্ধতি নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সেমিনারের বিষয়বস্তুর ওপর প্যানেল আলোচনা করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক সারওয়ার জাহান, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম আন্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, সিঙ্গার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাহবুব জামিল প্রমূখ। প্যানেল আলোচনার পর মুক্ত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
অর্থনীতি প্রতিদিন
রবিবার ১৬ জুন ২০১৩
জমির যথার্থ ব্যবহারে প্রবৃদ্ধি হবে ১০ শতাংশ’
অর্থনীতি প্রতিবেদক | |
জমির ব্যবস্থাপনা জটিলতায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রবৃদ্ধি অর্জন। দেশে প্রতি বছর প্রায় ১ শতাংশ আবাদি জমি হারাচ্ছে আনুভূমিক আবাসন বৃদ্ধির কারণে। জমি অধিগ্রহণ পর্যায়ে জনগণের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত এবং এর অর্থনৈতিক ব্যবহার নিশ্চিত হলে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব।
‘অবকাঠামো উন্নয়নে জমি অধিগ্রহণ : অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিআইডিএস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান। কমপ্যাক্ট টাউনশিপ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ইলিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যামিরেটাস অর্থনীতিবিদ সেলিম রশিদ।
এ ছাড়া পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ব্র্যাক নেটের চেয়ারপারসন আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, সাবেক উপ-সচিব কমির গাজী। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সারওয়ার জাহান, সিঙ্গার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাহবুব জামিল, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা প্রমুখ।
ড. আকবর আলি খান বলেন, জমি বা ভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন এর ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশন। এটি সরকারকেই করতে হবে, ব্যর্থ হলে হবে না। জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে উন্নয়ন অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে।
তিনি আরো বলেন, ভূমি রেকর্ড বা এই সংশ্লিষ্ট কোনো কাজ বেসরকারি উদ্যোগে সম্পন্ন করার আয়োজন করা হলে সরকার বা কোনো আদালত তা মানবে না। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে সরকারের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করতে হবে। জেলা পর্যায়ে থাকা ভূমি অফিস, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও স্থানীয় আদালতের কাজের সমন্বয় থাকতে হবে।
জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে জেলা পর্যায়ে স্বতন্ত্র ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব দিয়ে সাবেক এই আমলা বলেন, একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির সভাপতিত্বে গঠনকৃত ওই আদালত ভূমির মালিকানা নিয়ে কাজ করবে। এ ছাড়া মালিকানা ও জমি অধিগ্রহণের ফলে জমির প্রকৃত মালিককে কিভাবে অংশীদার করা যায় তা বের করতে হবে।
জমি অধিগ্রহণ জনগণের সম্মতিতে হওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইন করে জমি অধিগ্রহণ করা সম্ভব নয়। এ জন্য চেতনার সৃষ্টি করতে হবে এবং অধিগ্রহণকৃত জমিকে কিভাবে মডেল শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যায় তার জন্য কাজ করতে হবে।
জমি নিবন্ধনে ডিজিটাইলাইজেশন বিষয়ক প্রবন্ধে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ভূমি ডিজিটালাইজেশন সরকারের অগ্রাধিকারমূলক কর্মকা-ের মধ্যে থাকলেও চার বছরে উল্লেখযোগ্য এ খাতে অগ্রগতি হয়নি। এ জন্য তিনি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। দেশের ভূমির রেকর্ডগুলো আধুনিকায়ন তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় এনে এর জটিলতা দূরীকরণ এবং সহজে ব্যবহারের ওপর জোর দেন।
সারোয়ার জাহান বলেন, অবকাঠামো সংকটের একটি বড় কারণ জমি সংকট। দ্রুত নগরায়ণ হচ্ছে, তবে যথার্থ জমির ব্যবহার হচ্ছে না। উৎপাদনমুখী কোনো শিল্প স্থাপন না করতে পেরে রেমিট্যান্সের অর্থ জমিতে ব্যবহার হচ্ছে। জমি অধিগ্রহণের সঙ্গে জমির মালিককে সম্পৃক্ত করা গেলে অর্থনৈতিকভাবে দেশ লাভবান হবে।
এ ক্ষেত্রে বিকল্প কৌশল নির্ধারণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে জমির মালিকদের কিভাবে লাভবান করা যায় তা ঠিক করার সময় এসেছে। এ জন্য পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া দরকার বলেও তিনি দাবি জানান।
মাহবুব জামিল বলেন, সীমিত ভূমির মধ্যে সব কিছু করতে হচ্ছে বিক্ষিপ্তভাবে। গুচ্ছ আকারে নগর স্থাপনের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, এতে চাষের জমি রক্ষা পাবে। জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে গরিবদের সহজে মালিকানা থেকে সরানো গেলেও প্রভাবশালীদের সামনে যাওয়া যায় না। হাতিরঝিলের মধ্যে বিজিএমইএ ভবনের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, প্রভাবশালী একটি সংগঠনের কারণে অবৈধ হওয়া সত্ত্বেও এটি সরানো যাচ্ছে না।
মূল প্রবন্ধে সেলিম রশিদ কমপ্যাক্ট টাউনশিপ নামক নতুন ধারণা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই সিটি আবাসন, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, মার্কেট, গ্রামীণশিল্প ইত্যাদি অবকাঠামো তৈরি এবং স্থানীয় সরকারের পরিসেবাসহ সব মৌলিক প্রয়োজন ও নাগরিক সেবার একটি সমন্বিত রূপ। একেকটি কমপ্যাক্ট টাউন প্রায় ২০ হাজার জনসংখ্যাকে সমন্বিত সেবা দেবে।
কমপ্যাক্ট টাউনশিপের একমাত্র অর্থনৈতিক নীতি হচ্ছে উপকারী মানদ-ে লাভজনক এবং সমন্বিতভাবে ভূমির ব্যবহার আবাস সৌন্দর্যকরণ এবং সমন্বিত অর্থনীতির ব্যবহার সুসংহত করা।
Sunday, 16 June 2013
Public awareness needed to protect cultivable land: Akbar Ali Khan
DHAKA, JUNE 15: Former adviser to the caretaker government Dr Akbar Ali Khan said awareness should be built up among general people to protect cultivable land as well as ensure its proper utilisation. “Land registration has to be digitalised for its proper utilisation as economic development depends on land,” he said. He was addressing a seminar on “Enabling land acquisition for infrastructure: a participatory approach”, organised by Compact Township foundation at the auditorium of Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS) on Saturday. Among others, former bureaucrats Abdul Muyeed Chowdhury, Professor of Bangladesh University of Engineering and Technology (BUET), Sarwar Jahan and chairman of Singer Bangladesh Mahbub Jamil addressed the seminar.
Economist Prof. Salim Rashid read out the key note paper.
Dr Akbar Ali Khan said, the authority for land registration should not be handed over to the private sector as it is the government that belong the authority.
He further said, the compensation provided to land owner during land acquisition is not sufficient.
About the solution of legal issues with regards to land acquisition, he suggested to hold the trial relating land acquisition forming a special tribunal in all districts.
Mahbub Jamil alleged, nobody can build house in Dhaka city without corruption and the government is giving scope to people to make money through corruption.
Abdul Muyeed said, the land related problems can be removed introducing digital recording and using the up to date technology.